নিয়মিত মিম গ্রুপ গুলোতে বিচরণ করে, মিম নিয়ে আলাপ আলোচনা করে, মিম শেয়ার দেয় তাদের মধ্যে খুব কম মানুষই আছেন যারা যোগেশ ও রহিম ব্রাদার্স সম্পর্কে শুনেননি। কিন্তু তাদের অধিকাংশই যোগেশ ও রহিম ব্রাদার্সের আসল ঘটনা বা Context সম্পর্কে জানে না। আসল ঘটনা বা Context সম্পর্কে জানতে চাইলে অনেকে কমেন্ট বক্সে ভুলভাল লিঙ্ক দিয়ে দেয়। এই পোস্টে যোগেশ ও রহিম ব্রাদার্সের আসল ঘটনা বা Context দেওয়া হলো।
যোগেশ ও রহিম ব্রাদার্সের আসল ঘটনা বা Context
কিছু বছর আগে কোনো এক গ্রামে (নাম মনে নাই) ২ ভাই ছিলো (নাম মনে নাই)। তাদের শেষনাম রহিম, যার জন্য তাদের রহিম ব্রাদার্স বলা হয়। তাদের একটা গরুর খামার ছিলো।
অন্যদিকে তাদের এক প্রতিবেশিও (নাম মনে নাই) একটা গরু পালতো আর ওই গরুর নাম সে আদর করে ডাকতো যোগেশ।
তো একদিন অমবশ্যার রাতে সেই লোকটা হঠাৎ গোয়ালে অনেক শোরগোল শুনতে পায়। সে ভাবে যোগেশকে চুরি করার জন্যে হয়তো কোনো চোর আসছে। তাই সে তাড়াতাড়ি করে গোয়ালে যায়। কিন্তু গোয়ালে গিয়ে দেখে কেউ নাই। এমনকি সে যোগেশ কেও পায় না। তারপর সে যোগেশ কে খুঁজতে বের হয়ে দেখে একটা স্পেসশিপ উড়ে চলে যাচ্ছে। সে অবাক হয়ে যায় এইটা আবার কি! আসলে স্পেসশিপ নিয়ে কিছু এলিয়েন আসছিল। তারা যোগেশ কে কিছু ইভিল পাওয়ার দেয়। এরপর থেকে যোগেশ হয়ে যায় ইভিল যোগেশ।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে রহিম ব্রাদার্স এর সাথে যোগেশ এর সম্পর্ক কি?
স্পেসশিপ চলে যাওয়ার পর যোগেশ এর মালিক যোগেশ কে খুঁজতে থাকে, কিন্তু কোথাও খুঁজে পায় নি। পরের দিন সকালে গ্রামে হৈচৈ পড়ে যায়। কারন গ্রামের যত গুলা খামার/গোয়াল ছিলো, সব গোয়ালের গরুকে খুন করা হইছে। এমনকি রহিম ব্রাদার্স এর খামার এর গরু গুলাকেও খুন করা হইছে।গরুগুলাকে এমন ভাবে মারা হইছে দেখে মনে হচ্ছে কেউ গলার দিকটা কামড়ে ধরে শরীরের সব রক্ত চুষে ফেলছে পিশাচের মতো। এর মধ্যে অনেকে গত রাতের স্পেসশিপ টাও দেখছে। আর এই দিকে যোগেশকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। মানুষ তখন বলাবলি করতেছিলো কোনো অশরীরি ছায়া গ্রামে এসে পড়ছে। এইদিকে যোগেশ কে খুঁজতে খুঁজতে যোগেশ এর মালিক হয়রান।
একদিন পর রহিম ব্রাদার্স ও নতুন গরু আনে গোয়ালে। কিন্তু তারা লুকিয়ে পালাক্রমে পাহারা দেয়, প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। এইভাবে চলতে চলতে পরবর্তী অমাবস্যার দিন আবার একই ঘটনা ঘটে। সারাগ্রামের গরু গুলাকে কেউ রক্তচুষে খুন করে ফেলছে। রহিম ব্রাদার্স এর গরু গুলাকেও। কিন্তু ওইদিন কেউ স্পেসশিপ দেখে না। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ তার থেকেও ভয়ঙ্কর কিছু একটা দেখে।
একটা গরু এসে সবগুলা গরুকে রক্ত চুষে চুষে মারতে থাকে। এইটা দেখে তারা ভয়েই অজ্ঞান হয়ে যায়। সারাগ্রামে এই খবরের ছড়াছড়ি হয় যে একটা গরু এসে সবগুলা গরুকে রক্ত চুষে মারতে থাকে। গরুটার বর্ণনা পুরোপুরি যোগেশ এর সাথে মিলে যায়। আর প্রথম দিন যখন স্পেসশিপটা দেখে মানুষ। ওইটা ও যোগেশের মালিক এর বাড়ির কাছ থেকেই উড়তে দেখে। আর এতদিন ধরে যোগেশ ও উধাও ছিলো।
তারপর থেকে সবাই সিউর হয়ে যায় যে, যোগেশই এগুলা করতেছে। আর রহিম ব্রাদার্স ও তারপর থেকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রতি অমাবশ্যার রাতে বের হয় যোগেশ এর উদ্দেশ্যে। কিন্তু কেউই আর যোগেশ কে খুঁজে পায় না।
এই গল্পটা একটা রুপকথা টাইপ পেইজে পোস্ট হয় আর এখান থেকেই যোগেশ আর রহিম ব্রাদার্স এর কাহিনী শুরু হয়।
[ফেসবুক থেকে সংগৃহীত]
যোগেশের কিছু স্থিরচিত্র





